ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকে মারধর, ওসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ভাঙচুর

ctgঅনলাইন ডেস্ক :::

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে চট্টগ্রামে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। বিক্ষোভের সময় শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট ও নিউমার্কেট এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় পুলিশ কমিশনার এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে দুপুরে সদরঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিলেন। ওই হোটেলের অদূরে ফিরিঙ্গবাজার এলাকায় রহিমের বাসা। তাঁর এক বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা থেকে সাতজন অতিথি ওই হোটেলে ওঠেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে রহিম তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল তিনটায় ওই হোটেলে আকস্মিকভাবে যান সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এরপর তিনি রহিম ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে থানায় নিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে। রহিমের বিরুদ্ধে যৌনকর্মী রাখার অভিযোগ আনেন ওসি। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পাশের সিটি কলেজের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিউমার্কেট-সদরঘাট সড়কে পুলিশের একটি র‌্যাকার, সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা, দু-একটি প্যাডেলচালিত রিকশা এবং দুটি দোকান ভাঙচুর এবং সড়কটিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল জলিল মণ্ডল জানান, ‘সদরঘাট থানার ওসির সঙ্গে আবদুর রহিমের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই কোতোয়ালি অঞ্চলের এসিকে (সহকারী কমিশনার) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, মুচলেকা নিয়ে রহিম ও তাঁর স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবদুর রহিম ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে সিটি কলেজের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা থানা ভবনের সামনে বিক্ষোভ এবং সদরঘাট সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল নিউমার্কেট মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভে সিটি কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ জয়নাল বলেন, ‘আমাদের একজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় ছেলেদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পুলিশ যা ইচ্ছে তা করতে পারে না। আমরা ওসির অপসারণ চাই।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে সদরঘাট থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘কম দামের হোটেলে ছাত্রলীগের নেতা স্ত্রীকে নিয়ে উঠবেন- এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন রহিম। এ কারণে ওই মহিলাসহ রহিমকে থানায় নিয়ে আসি।’
ওসি মাইনুল আরও জানান, রহিমকে আটকের খবরে সিটি কলেজের ছেলেরা কয়েকটি ভাঙচুর করে। ওরা রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।

পাঠকের মতামত: